ভাতের পাশাপাশি ঝাল জাতীয় খাবারের সাথে অনেকেই কাঁচা মরিচ খেতে পছন্দ করেন। তবে অনেকেই মনে করেন, শীতকালে কাঁচা মরিচ খাওয়া উচিত নয়। আসলেই কি তাই? কাঁচা মরিচে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, কে, বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, কপার ও ম্যাঙ্গানিজের মতো ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। পাশাপাশি রাইবোফ্লাবিন, নায়াসিন, থায়ামিন ও ফলেটও পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় শীতে সর্দি–কাশি থেকে মুক্তি পেতে এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। নাক বন্ধ হয়ে গেলে ও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ খেলে তা দ্রুত ভালো হয়ে যায়। শীতে কাঁচা মরিচ খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কাঁচা মরিচে ক্যাপাসিয়াসিন নামক উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরে তাপ উৎপাদন করে থাকে। পাশাপাশি এই উপাদান খাবারের স্বাদ নিয়ন্ত্রণ করে ও বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। এছাড়াও শরীরের ব্যথা দূর করতে ভূমিকা রাখে কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপাসিয়াসিন নামক এই উপাদান।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাঁচা মরিচ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কেননা এতে আছে ভিটামিন কে যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে। ফলে শরীরে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল করে। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও কমে যায়।
কাঁচা মরিচে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁচা মরিচ শরীরে সেরোটনিন ও এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে যা মানসিক অবসাদ দূর করে।
কাঁচা মরিচে ক্যাপাসিয়াসিন নামক উপাদান থাকে যা শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাঁচা মরিচও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।