কুমড়ার বীজের নানা গুণ

পঠিত হয়েছে: 30 বার
কুমড়ার বীজের নানা গুণ

উপকারী সবজির মধ্যে মিষ্টি কুমড়া অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে। সুস্বাদু এই সবজি বিভিন্নভাবে রান্না করে খেলেও অনেকেই এর বীজগুলো ফেলে দেন। তবে আপনি যদি কুমড়ার বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তাহলে আর সেগুলো ফেলে দিবেন না। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন ই, কপার ও ফাইবার থাকে। এ সকল উপাদান শরীরের ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তাই চলুন কুমড়ার বীজের কিছু উপকারী দিক সম্পর্কে জেনে নিই।

অনিদ্রা দূর করে:

কুমড়ার বীজে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক এক ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায় যা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণকারী ‘সেরোটোনিন’ ও ‘মেলাটোনিন’ হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। দ্রুত অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

ত্বক ভালো রাখে:

কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। আর এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে ফ্রি র্যা ডিক্যালের ভারসাম্য ঠিক রাখে। এতে করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এর পরিমাণ কমে যায় যা ত্বকের সজিবতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ।

হার্টের জন্য উপকারী:

শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ও রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ম্যাগনেশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়। তাই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত কুমড়ার বীজ খান।

হজমে সহায়ক:

কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে ফাইবার বেশ কার্যকর।  তাই নিয়মিত কুমড়ার বীজ খাওয়ার অভ্যাস করুন।

প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ;

বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির আকার বাড়তে থাকে। এ ধরণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিঙ্ক এর প্রয়োজন হয়। আর কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত কুৃমড়ার বীজ খান। এতে করে প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট