ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা ও শরীরের ওজন সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকতে হয়। কেননা একসাথে চেপে ধরলে মুশকিল। তখন আরো বিভিন্ন সমস্যা শরীরে বাসা বাধতে শুরু করে। তাই ওজন ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এই দুটি বিষয়েই আপনাকে সাহায্য করতে পারে সহজ কয়েকটি পানীয়। যেমন—
গ্রিন টি:
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ক্যাটেচিনে ভরপুর গ্রিন টি অতিরিক্ত ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। গ্রিন টি তে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় খাবার খাওয়ার পর এই পানীয় খেলে শর্করার মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
আমলকী ও লেবুর জুস:
আমলকী ও লেবু দুটতেই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি', অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে। তাই খালি পেটে প্রতিদিন কাঁচা আমলকীর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দেহে জমে থাকা টক্সিন বের হয়ে যায় ও প্যানক্রিয়াসের কার্যকারিতা উন্নত হয়। এর পাশাপাশি এই পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
দারুচিনির চা:
ডায়াবেটিস বা ওবেসিটি তে আক্রান্ত রোগীরা চিনি খেতে পারেন না। তবে তাদের হন্য চিনির দারুন বিকল্প হতে পরে দারুচিনি। দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও খুদা নিবারণ করে। তাই প্রতিদিন দারুচিনির চা পান করলে সুগার লেভেল ও ওজন দুই-ই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মেথি ভেজানো পানি:
ইনসুলিন সেনসিভিটি উন্নত করতে ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি ভেজানো পানির বিকল্প নেই। তাই ঘুমানোর আগে একটি গ্লাসে এক চামচ মেথি দানা ভিজিয়ে পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় মেটাবলিজম উন্নত করে ও ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।